স্বার্থ ও পরিণতি
নিজের স্বার্থ যখন পরিবারের স্বার্থ থেকে বড় হয়ে যায় তখন পরিবার ধ্বংস হয়ে ।
শুধু স্বার্থ এবং স্বার্থান্বেষী দের জন্য পরিবার, সমাজ, দেশ, সব নষ্ট হয়ে যায় আর ইতিহাস এর দৃষ্টান্ত অনেক দিয়েছে ।
স্বার্থ মানুষ কে অন্ধ করে দেয় । গুরুজনের অপমান করতে তখন লজ্জা করেনা, দেশদ্রোহিতা করতেও লজ্জা করে না ।
আমরা কি একটা সমাজ গড়ে তুলতে পারিনা যেখানে স্বার্থের আগে সম্মান এর মূল্য বেশি হোক .
ভয়াবহ রকমের স্বার্থপর হয়ে উঠছে মানুষ, সমাজের অবক্ষয় হচ্ছে ভীষণভাবে।
দোষী আমরা সবাই। আমাদের সহ্য শক্তি আমরা অনেক বাড়িয়ে দিয়েছি অন্যায় সহ্য করার জন্য । আমাদের সহ্য শক্তি আমরা ততক্ষণ অতিক্রমণ করতে দিই না যতক্ষণ সমাজের, সংস্থার, আর দেশের প্রতি অন্যায় আমাদের কে ব্যাক্তিগত ভাবে আক্রমণ না করে। আমরা রুখে দাঁড়াতে, প্রতিবাদ করতে, ন্যায্য কথা বলতে ভুলে গেছি। আমারা এমন একটা অতল গভিরে তলিয়ে গেছি যার তলা নেই । উঠে দাঁড়াবার জন্য পা রাখার জমিও হারিয়ে গেছে। বস্ত্রহরণ রুখতে আমরা শুধু হরিনাম করি, রুখে দাঁড়াই না . আমরা আরম্ভ করি গুরুজন দের অপমান, বন্ধু দের সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা, সেই থেকে স্নাতক হওয়ার ধারা বয়ে যায় সমাজ এর অপমান, অযথা বিরোধিতা, আর সেই ধারাবহিকতা বজায় রেখে আমরা নিজেদের প্রাধান্য দিয়ে বাকি সব পেছনে ছেড়েদি ।
বিস্বাস করো আর নাই করো,এটাই কলিযুগের শেষ, তাঁকে আবার আসতেই হবে।
23 august 2020
Post by Mr. K. C. Roy in FB
ReplyDeleteস্বার্থ ছাড়া তো কোনো কাজ হয় না। তাই স্বার্থ মানুষের জীবনে চলার পথে একটি অভিন্ন অঙ্গ বলা যেতে পারে। হ্যা, তবে যে স্বার্থ অন্যের ক্ষতি করতে পারে, সেরকম কাজ করা উচিত নয়।
স্বার্থ টা আজ জীবনের অভিন্ন অঙ্গ হয় গেছে। এত যে স্বার্থপরতা যতক্ষণ নিজের ক্ষতি করছে ততক্ষণ চোখে লাগেনা। এটা তো একরকম স্বার্থপরতা।
ReplyDelete