পথ ও পথিক
পথিক
যখন যে পথে চলে
দিনের
শেষে পান্থ শালায় বসে
পিছনে যখন সে তাকায়,
পায়ের ক্ষত যখন সে
উষ্ণ জলে ধুয়ে নেয়,
তখন ফেলে আসা পথ
ঠিক ছবির মতো ভেসে ওঠে।
পথের নুড়ি, খালি পায়ের ক্ষত,
নাই আহার, নাই জল,
সে তো দুঃখ , কত শত।
আবার সেই
ছবি কখন
হয় ওঠে খুব মনোরম,
চোখে ভাসে যখন
পথের ছায়া গাছ, ফল,
পুকুর পাড়ের দৃশ্য মনোরম।
ছবি কখনো আবার দুঃখ দেয়
ফেলে
আসা পথে তাকিয়ে।
ফেলে আশা ভরসা আর নিরাশা
কিছু স্বপ্ন, কিছু ধ্বংস্তূপ
আবার আগামী কালের প্রাপ্তির আশা।
কিছু ফেলে আসা প্রতিশ্রুতি,
কিছু ভালোবাসা, প্রতারণা
কিছু মিথ্যা, অসত্য, আবার শান্তি।
পান্থ
শালায় মদ, ভাং, আফিম,
শুকনো ছটি রুটি, এক বাটি ডাল।
রাতের
বিশ্রাম টুকু জড়িয়ে ধরে
পথের ছবি গুলি হারিয়ে যায়,
বিশ্রাম এর নেশা কে আগলে ধরে।
নিমিলত চক্ষু সব যাত্রীর,
সবাই প্রায় এক পথের।
একই পাথেয়
একই ঝোলা সবার কাঁধে ,
একই পথের পথিক সবাই।
রাম , শ্যাম, যদু, মধু,
সবাই সবার সতীর্থ,
তীর্থ যে এই পান্থশালা।
এক রাতের এই পান্থশালা,
এক মুহূর্তের সতীর্থতা
ভোরের রেশ এর সাথে
ছড়িয়ে পড়ে সূর্যের আলোয়।
পথিক এর পথের শেষ নাই,
হারিয়ে যায় এক রাতের সতীর্থ,
রাম , শ্যাম, যদু, মধু, সবে।
পৃথক পথ, পৃথক রাতের আবাস।
পরিচয় সবার শুধু একটাই,
সবে পথিক, সম গোত্র।
গোত্র সবে ক্ষত্রিয়,
জয়ে করে সবে রোজ নতুন পথ।
দৈনন্দিন যুদ্ধ , ডরে না যে কেহ।
এগিয়ে চলো পথিক,
শুধু রাম, শ্যাম যদু মধু না।,
তোমরা আছো হাজার লাখ ,
একটু তাকিয়েই দেখো না।
সুপ্ত এই ভিড়, দৃপ্ত তোমার মস্তক
জাগাও এই সহস্র মানব কে
করো তোমার অসীম যাত্রা সার্থক।
গর্জে ওঠো পথিক,
দূর করো অনীহা,
হারাবার যা হারিয়েছো
এখন শুধু বুক খুলে দেখাও
কে হৃদয় তোমার করে বিদীর্ণ
করিল ছুরিকাঘাত
আজ তারে চিহ্নিত করো,
করো তারে চরম আঘাত।
আছে পথ, আছে পান্থশালা,
নিজে কে করিও না বঞ্চিত
নিজের জীবন থেকে
যা রেখেছে বিধাতা
তোমার জন্য রক্ষিত।
Well written poem Anupbabu. You have really stretched the pothik (traveller) metaphor to the optimum and skilfully blended thoughts and ideas in a thought provoking manner. Excellent effort. It is a poetic narrative of all of us as we are jibon pather pothik re bhai...
ReplyDelete