বেড়ালের মাছ ধরা
দুস্কা, মায়া , সাংসা , ডলি , মিচেল , শিবু , ময়না, টুইঙ্কল , লায়লা। এই দশ জন একসাথে এক ঘরে থাকে। সব মিলিয়ে নয় ভাই বোন, মা আর বাবা। এই হলো তাদের বাড়ি, গ্রামের লোকেরা বলতো ভূতের বাড়ি ।
একদিন বাবা বেড়াল ছেলেদের নিয়ে বিয়ে বাড়ি থেকে অনেক গুলো মাছের মাথা আর মাছের কাঁটা ইত্যাদি নিয়ে এলো। মা ভাত বানালো আর সবাই এক সাথে বসে দুপুরে মাছ ভাত খেয়ে বসেছে। তখন দুষ্কা, মায়া, মিচেল আর ডলি ফিস ফিস করে বললো, শোন আজ বাবা বেশ ভালো মন এ আছে, চল বাবা কে ধরি গল্প বলতে।
ব্যাস, যেমন ভাবা তেমনি কাজ, সবাই মিলে বাবা কে ধরলো। বাবা ও মেজাজ এ এসে গেলো, চল, সবাই আয়, আজ তোদের এই বাড়ির গল্প বলি । শুনে সবাই জড়ো হয়ে বসলো।
আমি এক দিন অনেক বড়ো মাছ ধরেছিলাম , সেই গল্প বলি। তখন এই যে সামনে পুকুর দেখছিস,
আমি তখন ঘুমোচ্ছিলাম। বাচ্ছাদের কান্না শুনে ঘুম ভেঙে যায়। যখন পাজি মাছটার কাজ দেখলাম রেগে গিয়ে পুকুর পাড়ে গিয়ে মাছ টা ডেকে বললাম, এই বাচ্ছা টা ফেরত দে। মাছ কোনো জবাব দিলো না, ও তো ঘুমোচ্ছিলো জলের তলায়। আমি ও রেগে গিয়ে মনে মনে নিজের ভাই বাঘ কে মনে করলাম আর জলে ঝাঁপ দিলাম আর একদম নিচে গিয়ে মাছ টা কে জোর কামড় দিয়ে ধরলাম আর ওপরে এসে জলের বাইরে বার করে নিলাম। আসলে কি হয়েছে, বাচ্ছা টা কে গিলে মাছ এর পেট অনেক মোটা হয়ে গিসলো। ও ভালো করে নড়তেও পারছিল না। আমি সাবধানে ওর পেট নিজের দাঁত আর নখ দিয়ে চিরে দিলাম । বাচ্ছা ছেলে তখনো বেঁচে ছিল। ব্যাস, ছেলে টা পেট থেকে বেরিয়ে, মুখ হাত ধুয়ে দাঁড়িয়েছে, তখন গ্রামের লোকেরা এসে গেলো। ওরা দেখে বুঝতে পারলো যে আমি ওকে বাঁচিয়েছি। তখন সব লোকেরা ঠিক করলো আর আমাকে বললো, শোনো, এই বাড়ি তা এবার থেকে তোমার, যত দিন থাকতে চাইবে, তুমি এখানে থাকবে। গ্রামে বাড়ি তে ভিয়েন বসলে, সব মাছের মাথা গুলো তোমার।
ব্যাস, তার পর থেকে আমি এখানেই আছি , খাচ্ছি, দাচ্ছি আর ঘুমোচ্ছি। চলো, এবার তোমরাও ঘুমো।
মিচেল টা একটু ফিচকে, সে বলে উঠলো, বাবা, কিন্তু বেড়াল তো জলে নামতে পারে না, তুমি কি করে জলের তলায় গেলে ? আর মাছ ই বা কি করে ধরে আনলে, তার তো জলের ভেতর অনেক জোর থাকে !
বাবা বকে দিলো, আরে আমরা কি আর তোদের মতন সিনেমা দেখে আর মোবাইল গেম খেলতাম, আমরা এতো পরিশ্রম করতাম যে আমার গায়ে অনেক জোর ছিল। এখন তো বুড়ো হয়ে গেছি রে , তাই আর কিছু করি না। যা, এবার ঘুমো।
সব ভাই বোনে ঘুমোতে চলে গেলো ভাবতে ভাবতে যে সত্যি কি বাবা এতো শক্তি ছিল না বানিয়ে বানিয়ে গল্প বলে।
খুব সুন্দর হয়েছে। বাচ্চারা ইঞ্জয় করবে। ছোটবেলার গল্পঃ গুলো মনে পড়ে গেলো।
ReplyDeleteভালো হয়ে ছে
ReplyDelete