শিশুর দুনিয়া
মার্চ ৩১ ২০২০
দাদু দাদু, তুমি এতো দিন পরে এলে,এস এস তোমাকে কিছু দেখাই।
চলো চলো গিন্নি মা, কি দেখাবে আমাকে, এখুনি দেখাও।
না বাবা, দাঁড়াও। এতো খানি সিঁড়ি চড়ে এসেছো, একটূ জল খাও। এই নাও, আমার সোনার কয়েন টা দিচ্ছি, এটা খেয়ে জল খাও।
এ মা, সোনার কয়েন কেউ খায় না কি গো দিদি ভাই।
আঃ দাদু, তুমিও না। আরে আমি তোমাকে বুধ্ধু বানাচ্ছিলাম। আমি এতো ছোট, আমাকে কে সোনার কয়েন দেবে বোলো ? আরে ওটা চকলেটে সোনালী কাগজ জড়ানো।
তা এটা তো তোমার চকলেট তুমি খাও, আমাকে কেন দিচ্ছ ?
আঃ , তুমি কি অন্য কারো দাদু। যা বলছি করো. ওটা খাও, জল খাও, আর আমার সঙ্গে এস। নাহলে এখুনি কেউ এসে যাবে আর আমাকে বকবে যে আমি তোমার সঙ্গে খেলছি। কেউ আসার আগে খেলতে বসে যাই চলো।
বাহ্ মা সোনা আমার, চকলেট টা তো ভারী মিষ্টি কিন্তু তোমার থেকে কম। আচ্ছা এবার বোলো কি দেখাবে।
দেখো, আমার কত গুলো ছেলে মেয়ে করেছি। দেখো এই পাঁচটা বেড়াল, এদের নাম হলো সিগরা , মচু, মিনি , টিমকি আর সিমকি। আরো আছে দুটো কুকুর, একটা হুলো আর একটা বাঘা। বেড়াল গুলো আমার মেয়ে অরে কুকুর গুলো আমার ছেলে। আমি না এদের সঙ্গে খেলা করি। এদের কে সকল বিকেল খাবার দি, চান করে পড়া করে সবাই আমার সঙ্গে। আর এরা না ঝগড়া করে না।
কিন্তু দিদি ভাই, বেড়াল আর কুকুর তো ঝগড়া করে অন্য সব জায়গায়, তুমি কি শেখালে যে এখানে ঝগড়া করে না।
দাদু, রাস্তার কুকুর গুলো কে না কেউ কিছু শেখায়নি। আমি কিন্তু এদের ,বলেছি যে দুষ্টমি করতে পারো ঝগড়া না।
কিন্তু দিদি ভাই, ইঁদুর বেড়াল, বেড়াল কুকুর, সাঁপ ময়ূর , পেঁচা ইঁদুর, সিংহ মোষ , এদের সব সময় ঝগড়া লেগে থাকে।
না দাদু, তুমি না কিচ্ছু জানোনা। এ সব ঝগড়া না বড় বড় মানুষের বানানো। আচ্ছা, একটা কথা বোলো, তুমি কোনো দিন মা দুর্গার কাছে গেছো। ভালো করে দেখেছো?
মা দূর্গা পুজো তে মূর্তি তো প্রতি পুজো তে দেখা যায়, কেন ?
দেখো, এক প্যান্ডেল এ, এক ছবি তে, গণেশের ইঁদুর, লক্ষ্মীর পেঁচা, কার্তিক এর ময়ূর , সরস্বতীর হাঁস, দুর্গার সিংহ, অসুরের মোষ আর শিব ঠাকুরের সাঁপ, সব থাকে। কোনো দিন এদের ঝগড়া হতে দেখেছো কি শুনেছ ? বলো ? জানি শোনোনি। আমি ও আমার বেড়াল কুকুর দের বলেছি, তোরা না ঠাকুরের বাহনের মতন থাকবি। সবাই সবাইকার বন্ধু। বাস, কোনো ঝগড়া নেই।
**************
Wonderful.
ReplyDelete