শব্দ খেলা সংবাদ
(বিশেষ দ্রষ্টব্য: এই সংবাদ এর সঙ্গে কোনো জীবিত বা মৃত পুরুষ বা নারীর কোনো সম্পর্ক নেই। সংবাদ এ এক পুরুষ, এক নারী, তবে কোনটা পুরুষ এর কথা আর কোনটা নারীর, সেটা পাঠকের কল্পনার ওপর ছাড়লাম। যদি আপনি আহত হন, তাহলে আগাম মার্জনা চেয়ে নিচ্ছি।)
সকাল গড়িয়ে দুপুর হতে চললো, ঘড়ির কাঁটা ফড়িং এর মতন লাফিয়ে লাফিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। লাট সাহেব এর ঘুম ভাঙ্গতে চায় না।
আচ্ছা তোমার কিসের তাড়া, ছুটির দিন, নাহয় একটু ঘুমিয়ে নিক। ৯ টাও বাজে নি আর তোমার জানিনা কোন ঘড়ির কাঁটা দুপুর দেখাচ্ছে। ভারত এ থাকো না জাপান জানিনা কী ভাব।
আমি কোনো তাড়াচ্ছি না, আমার কোনো তাড়া নেই। তবে এই যদি অভ্যাস থাকে তো মানুষ অফিস কাছারি থেকে তাড়িয়ে দেবে, কেউ রাখবে না। এখন তাড়াহুড়ো করে এগিয়ে গেলে পরে সুবিধা হবে, ব্যাস এটুকুই।
ফালতু বকো, এখন তাড়া দিছো, পরে দেখবে কাজ করে নোটের তাড়া,আনবে, তখন বুঝবে।
নোটের তাড়া না ছাই, আর আমার সেটা চাই না। আমি ওই পথ মাড়াচ্ছি না, শুধু এটুকুই চাই যে যা করার তাড়াতাড়ি করুক, নাহলে আজ আমি তাড়া মারছি, কাল ওর নিজের চিন্তা ধারা ওকেই তাড়া করবে। তখন লোকে এ না বলে যে বাপে তাড়ানো মায়ে খেদানো ছেলে, তার জন্য এখন তাড়া দেওয়া দরকার।
তা একটু ভালো করে তো কথা বলতে পারো তো। এত মুখ ঝামটা দিয়ে কথা বলার কী দরকার।
আমি মুখ ঝামটা দিচ্ছি না, সাজিয়ে গুছিয়ে কথা বলা অনেক হয়েছে, তোমরা সে সব বুঝতে চাও না, শুনতেও চাও না। জীবন টা কে সাজিয়ে নেবার দায়িত্ত্ব সবাই কে নিজেই নিতে হয়। তোমরা নিজেরাই তো সাজ গোজ করার পর রাতে ফিরে ঝামা ঘষো, সেটা তোমাদের কাজ আমার না। আমার কথা সাদা মাটা কথা, সাজানো কথা না, কারণ আমি কিছু সেজে থাকিনা, আমি শুধু আমিই থাকি। সাজ সজ্জা করো, শয্যা সাজাও, যাই করো, মনে রেখো জীবনের প্রতি কর্তব্য পুরো না করলে জীবন নিজেই সাজা দেবে, সে সময় সময়ের কোনো সাজানো সাক্ষী লাগবে না, কারণ সময় নিজের সাক্ষী নিজেই। সবাই কে শেষে ফটো ফ্রেম এ সাজিয়ে দেবে। যতই জেতার যুদ্ধ তে মেতে থাকো, ফটো তে কিন্তু হার টাই থাকবে, কোনো মেডেল না।
আচ্ছা, তোমার কী বাড়ি থাকা টাই অশান্তি? সব সময় অন্যের মুখে ঝামা ঘষে দেবার চেষ্টা।
মুখে ঝামা তোমরা নিজেরাই রোজ রাতে ঘষে নিচ্ছ সারা দিনের সাজগোজ তোলার জন্য। আবার ঝামা ত কত রকমের দেখে মানুষ ভিরমি খাবে, আবার বুঝতে গেলে তো খাবি খেতে হবে। কী যে মজা পাও, কি মজায় মজে থাকো, না কারো প্রতি কর্তব্য, না সম্মান।
আর তুমি কি করো?
কখনো কারুর অপমান করে মজা পাইনা, জীবনের অর্থ টা নিজেকে সমাজ আর কাজে নিমজ্জিত করে পাওয়া যায়, এটা বিশ্বাস করি। তোমাদের মজানো বা বোঝানো, দুটোই আমার সাধ্যের ও বাইরে, সাধের ও বাইরে। সে সাধের লাউ থেকে দূরেই থাকি। জেনে রাখো, দাসীর কথা বাসি হলে মনে করবে।
উফফ, কথা বলা না দেয়ালে মাথা ঠোকা। দাসী তো আমাকে করে রেখেছো, আমার কথা লিখে রেখে দাও, এক সময় বুঝতে পারবে।
দাসী আবার তোমরা। নিজেদের কে দাসী দাসী বলে সহানুভূতির বন্যায় সব ভাসিয়ে চতুর্দিকে তো শবের মেলা লাগাবার জোগাড়, নেহাৎ আমরা শিবের মতন নীলকন্ঠ হয়ে আকন্ঠ বিষোদগার শ্রবণ যন্ত্র দিয়ে পান করেও হৃদয়ের ধুকধুকানি চালু রেখেছি। দাসত্ব তো জীবনে ঘুচবে না, সেটা জানি।
নীলকন্ঠ? তাণ্ডব নৃত্য তো সব সময় ।
নাহ, তাণ্ডব নৃত্য যখন করবো, তখন পৃথিবী ত্রাহি ত্রাহি করবে। তোমাদের মতন নাটক জানিনা যে বুদ্ধের মূর্তি বানিয়ে, বুদ্ধম শরনম গচ্ছামি বলবে, আবার বুদ্ধ কে তন্ত্র সাধনায় টেনে নিয়ে গিয়ে হাঁড়িকাঠ এ অন্য কে বলি দেবে।
এক জন ঘুম থেকে উঠতে দেরি করছে বলে এত কথা। আর না, এবার ইতি।
অনুপ মুখার্জি "সাগর"
সুন্দর লাগলো.... অনেক ঘরেই এরকম চলে, nicely drawn
ReplyDeleteGreat
ReplyDeleteসুন্দর অভিভক্তি
ReplyDelete