শান্তি, রাজু, শুভ্র, জামিল, রীতা, রাজকুমার, সবাই কে মুনিশ রাখা হলো দুর্গা পূজায়।
পঞ্চমী রাত থেকে বিজয়া সম্মেলন পুরো সময় টা তো তাদের পূজা প্যান্ডেল এই থাকতে হবে। না হলে তো প্যান্ডেল পরিষ্কার হবে না। ওরা না হলে চেয়ার লাগবে কে?
ওদের পূজা তো সেইখানেই শেষ। না, ওরা ' আমাদের ' সঙ্গে দাঁড়িয়ে পুষ্পাঞ্জলি দিতে পারবে না। ওরা তো ' আমাদের ' সঙ্গে এক টেবিল এ বসে ভোগ খেতে পারবে না।
ওদের কে বাংলায় কথা বলতে দেখে কেউ মন্তব্য করে উঠলো, এমা গো, বাংলাদেশী মুসলমান এসে কাজ করছে দুর্গা পূজায়।
শান্তি জবাব দিয়ে উঠলো, না গো দিদি মনি, আমরা মালদা জেলার হিন্দু।
" মিছা কথা বলে কি লাভ, তা যখন পুজোর কর্তা রা তোদের কাজে লাগিয়েছে তো কর" বলে সেই মহিলা চলে গেলো।
পুজোর উৎসব এ ওরা মুনিশ, সেবাদার, ওদের কি কেউ পূজার শেষে বলবে " শুভ বিজয়া"? কেউ কি বলবে, আয়, তোরা এত খাটলি, একবার কোলাকুলি করি?
না, বলবে না। বাড়ির ছেঁড়া বা ফেলে দেওয়ার উপযুক্ত শাড়ি, ধুতি, শার্ট পেন্ট দিলেই তো কর্তব্য সাধন হয়ে গেলো। অতিরিক্ত আদিখ্যেতা দেখালে মাথায় উঠে। ওরা তো ওরা, আমাদের ভেতরের কেউ তো না। বলদ তো আর ঘরে ওঠে না।
অনুপ মুখার্জী "সাগর"
একদম ঠিক কথা
ReplyDeleteসত্যি এদের কথা তো কেউ ভাবে না
ReplyDeleteবাহ খুব সুন্দর
ReplyDelete