গণতন্ত্র, গণতন্ত্রের অধিকার
আপনাদের অধিকার আছে নিজের মুষ্টি বদ্ধ হাত প্রসারিত করার। কিন্ত আপনার সেই মুষ্টির অধিকার নেই আমার নাক কে স্পর্শ করার। যদি আপনার সেই চেষ্টা থাকে, তাহলে আমার সরকারের কর্তব্য হল আপনার হাতের প্রসারন আটকানো . হায়, আমাদের সরকার নিজেদের সেই কর্তব্য টা ভুলে গেছে, বার বার ভুলে যায়ে।
সরকার শব্দ টা একটা ধারাবাহিক রুপ নিয়েছে। রং, ঝাণ্ডা এবং নেতার নাম নির্বিচারে একই কাজ। যাকে আমাদের অগ্রজ রা বলত গু এর এ পিঠ আর ও পিঠ . আমাদের কাছে রাস্তা হল নেতাদের আরে পার্টি দের ভেতর থেকে ভালো নয়ে, শুধু কম মন্দ টা বাছাই করা। আমি লাল, গেরুয়া, নিল, সাদা, সবুজ, কিছু না, কিছু চাইনা । আমি গর্বিত হতে চাই নিজের দেশের নাম নিয়ে । নিজেকে ভারাতবাসি বলে, বাঙালি বলে । অহঙ্কার চাইনা, গর্ব চাই । অন্য দের থেকে ভয়ে' এর মানসিকতা চাইনা, সম্মানের এর মানসিকতা চাই । সেটার বেবস্থা যে নেতা, যে পার্টি করতে পারবে, সেই শুধু আসুক সরকারের আসনে . পাইয়ে দেবার রাজনীতি অনেক হয়েছে, এবার করে নেওয়া সেখাবার রাজনীতি চাই, আর সেটা সম্মানের এর করে নেওয়া, দুর্নীতির করে নেওয়া না ।
বাল্য অবস্থায় আমাদের কিছু অনুশাসন এর ভেতরে থাকার বাধ্যতা ছিল আর তার একটি ছিল গুরুজনেরা যা নির্দেশ দিচ্ছেন, শেখাচ্ছেন , সে সব মানতে হবে, শিখতে হবে। তাদের পাল্টা প্রশ্ন করা তখন অধিকার বহির্ভূত কাজ ছিল । সেটার যুক্তি আর দরকার এখন নিশ্চয়ই বুঝতে পারি। তবে সেই উদাহরণ টি কে রাজনৈতিক প্রাঙ্গনে প্রসারিত করা তা যুক্তিহীন, অন্যায়। নেতা, সরকার আর আমলাদের এই চরিত্র মানতে বাধ্য স্বৈরাচারী সমাজএর বাশিন্দা, কম্যুনিস্ট দেশ এর নাগরিক এবং একক রাজতন্ত্রের সমাজ। রাজা কে প্রশ্ন করলে আমি রাজ্যের শত্রু হয়ে যাই না।
তিন দশক আগে পশ্চিম বঙ্গ অথবা কেরালা যাবার আগে সাবধান করে দেওয়া হত, রাস্তায় কারো সাথে রাজনীতি নিয়ে আলোচনা করবি না, মার খাবার রিস্ক আছে। ষাঠ এর দশক থেকে সারা ভারতে সোনা যায় দেশদ্রোহিতার মামলা হতে, আজ ও হচ্ছে । নেতার মতামত এর বিরোধিতা করে মিছিল করে আমি দেশদ্রোহী, আগেও ছিলাম, আজ ও আছি।
আবার এর অন্য একটা দিক আছে, পেন্ডুলাম এর অন্য দিক। আমি নেতা কে পছন্দ করিনা বলে আমি তার কিছুও পছন্দ করব না। এমন কি আমি নিজের পরিচয় ও জানাতে রাজি না কারন নেতা বা সরকার জানতে চাইছে । আমি সরকার এর কাছ থেকে অধিকার নেব, কিন্তু আমার হাতে কিছু চাবি কাঠি আছে তাই এ সরকার আমার না। আমি দেশের সম্পত্তি নষ্ট করতে তৈরি কারন সরকার আমার পছন্দ না।
দেশের নাগরিক দের উঠে দাঁড়ানো উচিত এই দুই মেরুর দল এবং নেতাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখান যে আমরা ছোট বাচ্ছা না আর তোমরা অভিভাবক না।
আমরা প্রাপ্ত বয়স্ক, তোমরাও তাই হও । নাহলে খুব তাড়াতাড়ি তোমরা থাকবে না, তা তোমাদের রঙ যাই হোক না কেন, লাল, সবুজ, গেরুয়া, সাদা-নীল, নির্বিশেষে
******
Comments
Post a Comment