একটি প্রশ্ন
কী ঘটেছে, কে ঘটিয়েছে, কীভাবে ঘটিয়েছে বা কী ঘটবে এসব কথা জানে না, এই সময়ে সোস্যাল মিডিয়াতে এমন কেউ আছে বলে মনে হয় না। এখন সংবেদনশীল অভিজ্ঞ মানুষের কাছে সাধারণ মানুষ শুনতে চায় এই দু:সময়ে তারা কীভাবে কী ঘটাতে পারে সেই দিক নির্দেশ।একটি উত্তর
সাধারণ মানুষ কী ঘটাতে পারে, সেটা হলো রাজনৈতিক পরিবর্তন পাঁচ বছর অন্তর অন্তর। কিন্তু যখন প্রতি টা দল গুয়ের এপিঠ আর ওপিঠ তখন সেই গু নিয়েই কাজ চলানো তা সেই সাধারণের বাধ্য ধারাবাহিকতা তে পরিণত হয়ে যায় আর সেটা তত দিন হতে থাকবে যত দিন সাধারণ মানুষ আবার থেকে জেগে উঠে অসাধারণে পরিণত না হবে। তবে, জীবনের বাস্তবিকতা হলো সেই সাধারণ থেকে অসাধারণ পরিণত মানুষ যে আবার খুব তাড়াতাড়ি গণেশ ঠাকুর হয়ে যায় (অথবা জর্জ ওরভেল এর শুকর নেতা) । কাজে কাজেই এই সাধারণ থেকে অসাধারণ হবার ধারাবাহিকতা যে সমাজ অব্যহত রাখতে পারবে শুধু সেই সমাজ এগিয়ে যাবে বাকি রা শুধু ইতিহাসের পাতাতেই যাবে স্মৃতি হয়ে।
একটি গল্প
একটি গল্প পড়েছিলাম অনেক আগে, যেখানে বলা হয়েছিল যে গণেশ ঠাকুর সাধারণ মানুষের দেবতা ছিলেন। সাধারণ মানুষের সুখ দুঃখ ওনাকে বিচলিত করতো। সাধারণ মানুষ অসংখ দেবী দেবতার ইচ্ছার ভার পুরো করতে করতে ক্লান্ত পরিশ্রান্ত হয়ে পড়েছিল অথচ তাদের রেহাই ছিল না। দেবী দেবতারদের ভেতর আবার প্রতিযোগিতা লেগে থাকতো কে কত বেশি সেবা পাচ্ছে। (ঠিক যেরকম আমাদের নেতা/নেত্রী/আলেম/মোসাহেব ইত্যাদি প্রকৃতির ভেতর লেগে থাকে) । তেনাদের শুধু অধিকার ছিল, ভয় দেখানো ছিল, দায়বদ্ধতা কোনো ছিল না, সেটা শুধু সাধারণ মানুষের ! সাধারণ মানুষ তখন তিতি বিরক্ত হয়ে এক দিন গণেশের দ্বারস্থ হলো। তাদের একটাই প্রার্থনা, জুলুমবাজি থেকে রক্ষা।
গণেশ তাদের নিয়েই পৌছুলো ঈন্দ্রের দরবার, এতো জুলুমবাজি, বেলাগাম চাহিদা চলবে না। ইন্দ্র কহিলেন, কিন্তু মানুষ তো আমাদের কাছ থেকে সব সময় এটা সেটা দাবি করতে থাকে যা আমরা নিজেদের বিবচনা অনুযাই বণ্টন করি আর তার বদলে যদি কিঞ্চিৎ প্রসাদ পাই তাতে ক্ষতি কিসের?
গণেশ বলিলেন, যত করে তোমাদের দেবতারা তার থেকে বেশি তো নাটক, এ সব চলবেনা। অনেক আলোচনা, প্রতিরোধ, মিছিল ইত্যাদির পর দেবতারা বুঝলো যে কিছু করতে হবে। তারা তখন গণেশ কেই বললো, ঠিক আছে, তোমার যদি মনে যে আমরা অনেক অন্যায় করছি তাহলে তুমি প্রথম পুজো নাও মানুষের তারপর তোমার যা বিবেচনা সে অনুযায়ী আমাদের দাও। মানুষ নেচে উঠলো, তাদের নেতা প্রথম পুজোর অধিকারী হলো। প্রথম পুজো গণেশের আরম্ভ হলো! আর তারপর:- যে দেবতা যা নিতো নিতে থাকলো।
আর একটি গল্পো
এক নেতা দেখলো তার সমাজ প্রচন্ড তাড়িত, তাদের সামাজিক অধিকার নেই, তারা গ্রামের ইদারা থেকে জল তুলতে পারেন, রাস্তা দিয়ে চলার অধিকার নেই, তাদের বাড়ির মেয়ে বউদের সম্মানহানি করতে উঁচুজাতের জাত যায়না, দিনের আলোয় তাদের ছোয়ার আশপাশে আসতে সেই উঁচুজাত এর ঘৃণা করে, সেই রকম একজন বহু সংঘর্ষ জয় করে নিজের আর নিজের সমাজের সত্ত্বা স্থাপিত করলো। দেশের সংবিধানে নিজেদের প্রতি অন্যায়ের মান্যতা আদায় করে অধিকার স্থাপিত করলো। তাকে ব্যাবহার করে তারই সমাজের কিছু ধান্দাবাজ নিজেদের আখের গোছালো, শুধু সেই যুগপুরুষের কতিপয় প্রস্তর মূর্তি বানিয়ে তাতে মালা পরানোর কাজ টা করতে থাকলো।
আরও কিছু
একটি দেশ নিজের সমাজ আমূল পরিবর্তিত করে সব রকমের ধর্ম উৎপাটিত করলো। ধর্ম নাকি আফিম! সমাজ আনলো যেটা শুধু পরিশ্রমী মানুষের জন্য তাদের দ্বারা শাসিত চালিত হবে! আজ পৃথিবী তে দ্বিতীয় সব থেকে বেশি ধনী সেই দেশে, অথচ তাদের দেশে সাধারণ অধিকার থেকে বঞ্চিত করার জন্য কোনো তর্ক লাগে না ।
পৃথিবীর মানুষ কে এই ধারাবাহিকতার বঞ্চনা থেকে মুক্তি দেওয়া কি সম্ভব?
এই প্রশ্নের উত্তর কি কেউ পাবে??
Comments
Post a Comment