হারি আমরা। যুদ্ধ চলে দৈনন্দিন, অনেক যুদ্ধেই হারি। হারতে হারতে উঠে দাঁড়াই, ঘুরে দাঁড়াই, আর নতুন করে চলতে শিখি। নিরন্তর এই যাত্রায় থাকি বলেই যাঁরা অসম যুদ্ধে অসম্ভব শৃঙ্গগুলো জয় করেন, তাঁদের উদ্দেশে মাথাটা নত হয়ে আসে।
বিহারের দরিদ্র এক ঝালাই মিস্ত্রির ছেলে যখন বছরে এক কোটি টাকার মাইনের চাকরি পান, তখন তার পিছনে দারিদ্র-অভাব-খিদের সঙ্গে নিদারুণ কঠিন একটা লড়াই আমরা হয়ত দেখতে পাব না আজ এই মুহূর্তে, দেখতে পাবেন যিনি, তিনি ফ্যালফ্যাল করেই তাকিয়ে থাকবেন। বাবা ছাড়া কে জানবেন সেই রুক্ষ ইতিহাস ?
অথবা পার্কিনসনসের মতো জীবন ওলটপালট করে দেওয়া অসুখকে পিছনে ফেলে বেঙ্গালুরুর হরিপ্রসাদ যখন ২ হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দেন, তখন আমরা বুঝতে পারি, লড়াইটা কোন পর্যায়ে নিয়ে গেলে তবেই খাদের কিনার থেকে এই ভাবে ঘুরে দাঁড়ানো যায়? এ ভাবেই ফিরে আসা যায়!
বুঝি নিশ্চয়ই। না হলে মাথা নত হয়ে আসে কেন এঁদের সামনে?
আসুন, এদের সবাই কে কুর্নিশ জানাই।
অনুপ মুখার্জী "সাগর"
Comments
Post a Comment