চিৎকার, তুমি শুনেছ কি,
শুনেছ কি সেই চিৎকার?
ক্ষুধার্তের নিশব্দ আর্তনাদ,
ধর্ষিতার সেই রুদ্ধ আর্তনাদ?
শুনেছ নিশ্চই ধর্ষকের হুংকার,
শুনেছ তোমরা নিশ্চয়ই
বিজয়ের সেই আদিম উল্লাস
ঘাতকের আদিম হুংকার।
শুনেছ কি লুণ্ঠিত'এর কান্না,
হতাশার অশ্রুর দীর্ঘশ্বাস,
দেখেছো কি তোমরা,
আধুনিক যুগের যাঁতাকলে
লুক্যায়ত অসংখ্য ক্রীতদাস।
মনে কি হয়না কখনো
চোখ মাথা খুলে তাকাবার,
পেট ভরা দের অট্টহাসি,
সঙ্গীতের দামামা মাঝে,
তৃষ্ণার্ত বাজনদারের তৃষ্ণা,
শুনতে পেতে যদি মজুরের
সন্তানের খালি পেটের ব্যাথা।
দেখতে পেতাম যদি আমরা
রাতের আঁধার, অনিদ্রিত মানুষ,
ভোরের শিশিরে, কান্নার অশ্রু।
এসো সবাই, এগিয়ে এসো,
দেখো নিজের চারিপাশে,
মেটাও কিছু তৃষ্ণা, ক্ষুধা,
ধরো, পড়ে যাওয়া কারো হাত,
মুছে দাও কারো অশ্রু,
দেখো যেনো তোমার কারণে,
তোমার অন্ধ অধিকারের জেদে,
পড়ে না যেনো কারো দীর্ঘশ্বাস,
কারণ হয়েও না কারো হতাশার
শুনে নাও এখনই,
সব নিঃশব্দ চিৎকার।
সব নিঃশব্দ চিৎকার।
অনুপ মুখার্জী "সাগর"
Comments
Post a Comment