বর্ষা
হেমন্ত, শরৎ, শীত, গৃষ্ম, বসন্ত, বর্ষা,
শ্রাবণ, প্রালবন, ঝোড়ো, ছিঁটেফোঁটা, বর্ষা।
এতো জল কোথায় পাও, ওগো বর্ষা,
সাগর, হৃদ, নদ নদীর জল আনো,
বাষ্প রূপ দাও সব জলেরে তুমি,
সেই জল ফেরৎ দাও পৃথিবী কে, কেনো?
কিষান কিষানী র আনন্দ তুমি,
জল পেয়ে মাঠ ভরে, ধান লাগে,
ঘাম নয়, রক্ত ঝরা পরিশ্রম করে
স্বপ্ন দেখে, সোনালি দিনের.।
তৃষ্ণার্ত পৃথিবী, তৃষ্ণা মেটে বৃষ্টির ফোঁটায়
তুমি সমাহিত সবে, ডোবা, পুকুর, নদী তে,
তুমি যখন বেগ ধরো, কেউ নাচে মাতোয়ারা,
কেউ খোঁজে একটা ছাত, একটু আশ্রয়।
এক কবি লেখে সজন বিরহী সজনির গাথা,
কেউ ভরে কাগজে যুগলের উদ্দাম প্রেম কথা,
কেউ একা হাঁটে, শান্ত, স্থির, স্নান করে বৃষ্টি তে,
কারো অতৃপ্ত তৃষ্না চোখ থেকে বহে,
বৃষ্টির জলের ফোঁটার সাথে মিষে যায়।
কতো রূপ তোমার বর্ষা, যুগে যুগে সাস্বত,
তাকায় তোমার দিকে, পশু, পাখী, মানুষ,
অসহ্য যখন হয় অত্যাচার আমাদের,
প্রলয় কোথাও, বা মেঘ ফেটে ভাসিয়ে দাও।
প্রকৃতির অংশ তুমি, নিজের মতো চলো,
তোমায় পুজা করি, দাও কিছু শিক্ষা মোদের।
অনুপ মুখার্জী "সাগর:

No comments:
Post a Comment