পাখির মৃত্যু
(কবিতা টি আমি ২৬-০৮-২০০৭ এ লিখেছিলাম)একটি পাখি জন্ম নিলো,
কণ্ঠে এল স্বর, ধরল গান ।
কণ্ঠে এলো গান , এলো পাখনা,
পাখায় এল শক্তি,
ভাসল খোলা আকাশে
দেখলো সুন্দর পৃথিবী, নির্মল পৃথিবী।
দেখলো ঈশ্বরের রচনা,
নীল আকাশ, উচ্চ হিম শিখর,
সবুজ বন, বিস্তারিত সাগর,
বিস্তৃত, বিস্মিত সেই রচনা।
ছোট্ট পাখি, মিষ্টি গান,
গানেই সে ভরে দেবে ভুবন,
প্রাণ ভোরে গাইবে গান,
ভুলিয়ে দেবে ক্লান্তি, অবসাদ।
বেজে উঠলো প্রাণ ভরানো গান ,
জেগে উঠলো ভুবন মোহিনী গান,
ধ্বনিত প্রকীর্তির সেই গান,
মধুর ঈশ্বরের সেই গান।
গান:
যেন সে নিভিয়ে দেবে হিংসার আগুন,
শান্ত করবে প্রতিহিংসার জ্বালা ,
মুছিয়ে দেবে সব মলিনতা,
নির্মল করবে দশ দিক।
মানুষের তো সব সহ্য হবে না,
জ্বলে উঠলো মানুষের মন,
জর্জরিত ঈর্ষান্বিত মানুষ করে চিৎকার
কে? কে? কে গাহে এই শান্তির গান ?
অসহ্য এই পাখির গান,
দুর্বার দুঃসাহস ছোট্ট পাখির !
নেভাতে চাহে হিংসার আগুন ?
গানের বরষায় শীতল করবে এই জ্বালা ?
দেখালো মানুষ ক্ষমতার দম্ভ
ঈশ্বর ও হয়েগেলো স্তম্ভিত
জ্বলে উঠলো ঈর্ষার আগুন,
দাপিয়ে উঠলো দাবানলের উর্ধশিখা।
আগুনের লেলিহান শিখা ,
উঠলো আকাশ ঘিরিয়া ,
পোড়ালো ছোট্ট পাখির পাখা,
ভস্মিত করতে লাফিয়ে উঠল,
ছোট্ট পাখির ছোট্ট দেহ ।
বেরিয়ে এলো শেষ আর্তনাদ,
বন্ধ হলো সেই পাখির গান ,
লেলিহান শিক্ষা, তাপ যে বড্ড বেশি,
ঝলসে গেলো পাখি, উড়ে গেলো প্রাণ
গানের শেষ কলি ভেসে উঠলো আকাশে বাতাসে
কেউ কি দেবে একটু জল?
তেষ্টা মেটাতে? না,
শুধু ছাই টা ভাসাতে !
*****************************
Comments
Post a Comment