বাঘ মামা কে চিঠি
৪ আগস্ট ২০১৯
আমার প্রিয় বাঘ মামা,
তুমি আমাকে চেনোনা, কিন্তু আমি তো মনে হয়ে তোমাকে চিনি। এইটুকু ছিলাম, ঠাকুমা শোনাতো তোমার গল্প, তুমি জঙ্গলে থাকো। তুমি খুব ভালো, আমার মতো ছোট ছোট ভাগ্নি দের ভালো বাসো , আমাদের কে বাঁচাতে পারো, দৈত্য এলে তাদের কে হালুম করে তাড়িয়ে দিতে পারো।
মামা, একটু বড়ো হয়ে জানলাম, তুমি তো শুধু নিজের খাবার জন্য হালুম করো আর হরিণ জাতীয় কারু একটা কে ধরে খেয়ে নাও। গল্প আরো পড়লাম, আমাদের ভগবানরা, বড় বড় মানুষেরা তো ঘরের দেয়ালে মাথা সাজাবার জন্য বা মাটিতে চামড়া পাতার জন্য তোমাকে, হরিণ কে, যাকে পায়ে তাকে মারে, আর তোমাকে তো নাকি দেখতে পাওয়া যায় না। যেন মামা অনেক সময় তোমার জন্য মন কেমন করে, যদি তুমি আমার কাছে আসতে পারতে তাহলে আমি তোমাকে লুকিয়ে রাখতাম, নিজের দুধ রুটি, পায়েস, এ সব খেতে দিতাম আর বলতাম, মামা, অনেক দৈত্য রয়েছে চারিদিকে, তাদের হালুম করে দাও তো।
মামা, হঠাৎ দু দিন আগে জানলাম যে আমাদের সরকার বলছে যে তোমরা নাকি সংখ্যায় বেড়েছে! ২০০৪ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত নাকি ১৪১১ থেকে বেড়ে ২৯৬৭ হয়ে গেছো। এটা খুব ভালো খবর মামা, আমার খুব আনন্দ হচ্ছে, এবার হয়তো তোমাকে দেখতে পারবো। তুমি কি আমার বাড়ি এসে থাকবে মামা? প্লীজ মামা, এস না, আমার যে খুব দরকার তোমাকে।
জানো মামা, আমার দিদি, বোন, বন্ধু, মা, মাসি, পিসি, এমন কি ঠাকুমা দিদিমা পর্যন্ত ভালো থাকতে ভয়ে পায়ে কখন কোন দৈত্য হঠাৎ করে ঠিক করে বসবে যে আমাদের জামার সাইজ টা ছোট, বা আমাদের পা কেন একটু বেশি বেরিয়ে আছে, আর তৎক্ষণাৎ সেই দৈত্য হামলে পড়বে আমাদের ওপর, ছিঁড়ে খাবে আমাদের। তুমি পাশে থাকলে তো সেই দৈত্যদের সাহস হবে না মামা, তাই না, তুমি তো হালুম করলেই ওরা পালিয়ে যাবে। আর না ই যদি বা পালায় তো তুমি তো ওদের খেতেও পারো, তাহলে আরো ভালো, আমার মতন অনেক ভাগ্নিরা ওদের হাত থেকে বেঁচে যাবে।
জানো মামা, এই সব দৈত্য দের পাশে কিছু কিছু রাক্ষস রাক্ষসী শাঁকচুন্নি ইত্যাদি ও আছে। আমার দিদির ওপর কলকাতায় কিছু দৈত্ত ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, তো কিছু রাক্ষস রাক্ষসী বলেছিলো যে দিদিটা নাকি ওদের খেলনা ছিল, ওরা যেমন ইচ্ছে খেলেছে। আর একটা দিদি মুম্বাই তে ৪২ বছর অজ্ঞান পড়ে থেকে মারা গেলো, আর যে দৈত্য টা তাকে খেয়েছিলো সে দিব্যি নিজের বাড়ি তে সংসার করছে। দিল্লি তে আর এক দিদি কে দৈত্য রা মেরেই ফেললো, আর তাদের ভেতর একজনএর বয়স একটু কম ছিল বলে তাকে কেউ সেলাই মেশিন দিয়ে, কেউ টাকা দিয়েই, কেউ অন্য কিছু দিয়ে সাহায্য করে সরিয়ে দিলো, আহা বেচারা ছোট বাচ্ছা বলে ! কিন্তু সে যে সেই দিদি টা কে মেরে ফেললো যন্ত্রনা দিয়েই তার কি মামা। এই যদি তুমি থাকতে দিদি টার পাশে তাহলে তো ওরা কিছু করতে পারতোনা !
তাই বলি মামা, নয়তো তুমি আমার কাছে এসে থাকো, আর সেটা যদি না পারো তো আমাকে নিজের কাছে নিয়ে রাখো। তোমার কাছে থাকলে দৈত্য, রাক্ষস, রাক্ষসী সবাই কিছু করতে পারবেনা। আমি তোমাকে একদম বিরক্ত করবোনা।
মামা, কেউ বললো যে তুই এতো মামা মামা করিস, দেখবি মামা তোকে এক গালে খেয়ে নেবে ! সত্যি মামা ? তবে তুমি যদি খেয়েও নাও, তাহলেও তো তুমি এসব দৈত্যদের মতো আধমরা করে ছাড়বে না, ওদের মতো বলবে না যে আমার জামা ছোট, আমার হাত পা দেখে আমাকে আঁচড়াবার ইচ্ছে হলো, তোমার খাওয়া তো পেটের খিদের জন্য, আমি সেটার জন্য তৈরী মামা।
বাঘ মামা, আমার কাছে এস, নাহলে আমাকে নিজের কাছে নিয়েই যাও , প্লীজ মামা, তোমার ভাগ্নি তোমার জন্য পথ চেয়ে বসে আছে।
তোমার, ভীত ত্রস্ত ভাগ্নি
৪ আগস্ট ২০১৯
আমার প্রিয় বাঘ মামা,
তুমি আমাকে চেনোনা, কিন্তু আমি তো মনে হয়ে তোমাকে চিনি। এইটুকু ছিলাম, ঠাকুমা শোনাতো তোমার গল্প, তুমি জঙ্গলে থাকো। তুমি খুব ভালো, আমার মতো ছোট ছোট ভাগ্নি দের ভালো বাসো , আমাদের কে বাঁচাতে পারো, দৈত্য এলে তাদের কে হালুম করে তাড়িয়ে দিতে পারো।
মামা, একটু বড়ো হয়ে জানলাম, তুমি তো শুধু নিজের খাবার জন্য হালুম করো আর হরিণ জাতীয় কারু একটা কে ধরে খেয়ে নাও। গল্প আরো পড়লাম, আমাদের ভগবানরা, বড় বড় মানুষেরা তো ঘরের দেয়ালে মাথা সাজাবার জন্য বা মাটিতে চামড়া পাতার জন্য তোমাকে, হরিণ কে, যাকে পায়ে তাকে মারে, আর তোমাকে তো নাকি দেখতে পাওয়া যায় না। যেন মামা অনেক সময় তোমার জন্য মন কেমন করে, যদি তুমি আমার কাছে আসতে পারতে তাহলে আমি তোমাকে লুকিয়ে রাখতাম, নিজের দুধ রুটি, পায়েস, এ সব খেতে দিতাম আর বলতাম, মামা, অনেক দৈত্য রয়েছে চারিদিকে, তাদের হালুম করে দাও তো।
মামা, হঠাৎ দু দিন আগে জানলাম যে আমাদের সরকার বলছে যে তোমরা নাকি সংখ্যায় বেড়েছে! ২০০৪ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত নাকি ১৪১১ থেকে বেড়ে ২৯৬৭ হয়ে গেছো। এটা খুব ভালো খবর মামা, আমার খুব আনন্দ হচ্ছে, এবার হয়তো তোমাকে দেখতে পারবো। তুমি কি আমার বাড়ি এসে থাকবে মামা? প্লীজ মামা, এস না, আমার যে খুব দরকার তোমাকে।
জানো মামা, আমার দিদি, বোন, বন্ধু, মা, মাসি, পিসি, এমন কি ঠাকুমা দিদিমা পর্যন্ত ভালো থাকতে ভয়ে পায়ে কখন কোন দৈত্য হঠাৎ করে ঠিক করে বসবে যে আমাদের জামার সাইজ টা ছোট, বা আমাদের পা কেন একটু বেশি বেরিয়ে আছে, আর তৎক্ষণাৎ সেই দৈত্য হামলে পড়বে আমাদের ওপর, ছিঁড়ে খাবে আমাদের। তুমি পাশে থাকলে তো সেই দৈত্যদের সাহস হবে না মামা, তাই না, তুমি তো হালুম করলেই ওরা পালিয়ে যাবে। আর না ই যদি বা পালায় তো তুমি তো ওদের খেতেও পারো, তাহলে আরো ভালো, আমার মতন অনেক ভাগ্নিরা ওদের হাত থেকে বেঁচে যাবে।
জানো মামা, এই সব দৈত্য দের পাশে কিছু কিছু রাক্ষস রাক্ষসী শাঁকচুন্নি ইত্যাদি ও আছে। আমার দিদির ওপর কলকাতায় কিছু দৈত্ত ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, তো কিছু রাক্ষস রাক্ষসী বলেছিলো যে দিদিটা নাকি ওদের খেলনা ছিল, ওরা যেমন ইচ্ছে খেলেছে। আর একটা দিদি মুম্বাই তে ৪২ বছর অজ্ঞান পড়ে থেকে মারা গেলো, আর যে দৈত্য টা তাকে খেয়েছিলো সে দিব্যি নিজের বাড়ি তে সংসার করছে। দিল্লি তে আর এক দিদি কে দৈত্য রা মেরেই ফেললো, আর তাদের ভেতর একজনএর বয়স একটু কম ছিল বলে তাকে কেউ সেলাই মেশিন দিয়ে, কেউ টাকা দিয়েই, কেউ অন্য কিছু দিয়ে সাহায্য করে সরিয়ে দিলো, আহা বেচারা ছোট বাচ্ছা বলে ! কিন্তু সে যে সেই দিদি টা কে মেরে ফেললো যন্ত্রনা দিয়েই তার কি মামা। এই যদি তুমি থাকতে দিদি টার পাশে তাহলে তো ওরা কিছু করতে পারতোনা !
তাই বলি মামা, নয়তো তুমি আমার কাছে এসে থাকো, আর সেটা যদি না পারো তো আমাকে নিজের কাছে নিয়ে রাখো। তোমার কাছে থাকলে দৈত্য, রাক্ষস, রাক্ষসী সবাই কিছু করতে পারবেনা। আমি তোমাকে একদম বিরক্ত করবোনা।
মামা, কেউ বললো যে তুই এতো মামা মামা করিস, দেখবি মামা তোকে এক গালে খেয়ে নেবে ! সত্যি মামা ? তবে তুমি যদি খেয়েও নাও, তাহলেও তো তুমি এসব দৈত্যদের মতো আধমরা করে ছাড়বে না, ওদের মতো বলবে না যে আমার জামা ছোট, আমার হাত পা দেখে আমাকে আঁচড়াবার ইচ্ছে হলো, তোমার খাওয়া তো পেটের খিদের জন্য, আমি সেটার জন্য তৈরী মামা।
বাঘ মামা, আমার কাছে এস, নাহলে আমাকে নিজের কাছে নিয়েই যাও , প্লীজ মামা, তোমার ভাগ্নি তোমার জন্য পথ চেয়ে বসে আছে।
তোমার, ভীত ত্রস্ত ভাগ্নি
Comments
Post a Comment